What is or are behind this insane going on?

Featured

Most everybody who is aware of great change is happening at an accelerated rate everywhere, at least about the inflation and things suddenly going costly and unavailable, especially food and essentials all over the world. Many people, not all, are beginning to realize that this price rise in due to man made reasons. At this point the root cause looses unanimity and great divide seems to show up among people. Also, the state media, the independent media as well as much of social media seem to be on the same side, and point the blame to Russia.

One explanation, or rather, one version of the explanation, comes from an Indian born US politician name SHIVA AYYADURAI, listed below. Have a listen.

He is by no means the only person with an opinion on the root issues that questions the official narrative. but one of many. While he explains his version of why all are behind this subterfuse, he still does not, in me judgement, provide a cline as to why they are dong what they are doing. You get the general impression that they are perhaps into it because of personal again and personal gain only. I find that, while believable, cannot be the whole truth.

নমস্কার,
অনেকেই এতদিনে বুঝে গেছেন, যে পৃথিবীতে বিরাট বদল আসছে, এবং অশান্তিের সঙ্গে বিপদও ঘনিয়ে আসছে – বিশ্বব্যাপি দুর্যোগ। যাকে এতদিন স্বাভাবিক মনে করা হত তা এখন অস্বাভাবিক হতে চলেছে এবং যা সমাজে অসম্ভব ধরা হত তাকে যোর করে সমাজে ঢোকানো হচ্ছে, উন্নতির নামে।
কিন্তু প্রশ্ন হল – কেন? এর পেছনে কোন শক্তি কাজ করছে?
সব মিডিয়া, খবরের কাগজ, এবং সব টিভি চ্যানেল কিছু খুলে বলছেনা, এবং সম্ভবত তারা জানে না এবং জানার চেষ্টাও করছে না।

এটাও কিছু লোকেরা বুঝেছেন বা সন্দেহ করছেন য়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ কোনও ভাবে এর সঙ্গে যুক্ত|
এর একটা বিশ্লেষণ পাবেন Dr. SHIVA AYYADURAIN নামক ভারতে জন্ম মার্কিন রাজনীতিবিদের কাছ থেকে – নিচে – দেখুন|

Yesterday I spoke with a number of people from Bengal, India, about the state of affairs in geopolitics and especially about the goobal conflict between the west and the Non-West, as a large iceberg of which the Ukraine conflict is perhaps the very tip. Here is the uncommpressed and unedited lot.

Contd …

খোলা হাওয়ার সন্ধানে

রাণা প্রতাপকে,

আমি তাড়াতাড়ি কতগুলো কথা বলেদিই তোমাদের, রাণাপ্রতাপ। আমি ফেসবুক মোটামুটি বর্জন করেছি, যদিও আমার এখানে পাঁচ হাজার বন্ধু এবং কয়েক হাজার ফলোয়ার। আমাকে Facebook সারাক্ষণ সাবধান করছে যে আমার দরকার কিছু বন্ধুদের ছাঁটাই করে জায়গা বানাতে – নতুন বন্ধুদের আসার গেট খোলা রাখতে, কারণ ফেসবুক পাঁচ হাজারের বেশি বন্ধু মঁজুর করেনা। আগে আমি দিনে দশটা পোষ্ট করতাম এখানে নিজের দেওয়ালে – আজকাল তিনচার দিনে একটা করি। আমার YouTube’এ ৬০০  টা ভিডিও আছে এবং কয়েক হাজার ফলোয়ার ছিল। তা সত্বেও আমি দেড় বছরে একটাও ভিডিও তুলিনি ওখানে। কারণ আমি YouTube’কেও বয়কট করছি – বন্ধু বা ফলোয়ার থাক না থাক। আমি এখন বাইরের জগতবাসী – আমাকে পেতে গেলে, বা আমার  মত আরও অনেককে জানতে গেলে – এই jail’এর বাইরে বেরোতে শিখতে হবে।

আমার সঙ্গে তোমাদের যোগায়োগ রাখার কোনও প্রয়োজন নেই – কিন্তু যদি কোনও কারণে সম্পর্ক রাখতে চায় কেউ তবে এই ফেসবুক এবং ইউ-টিউবের নিয়ন্ত্রিত ভিড় ছেড়ে মাঝে মধ্যে বাইরের জগতে খোলা হাওয়ায় নি:শ্বাস নেওয়া অভ্যেস করতে হবে। এখানের বাইরেও যে একটা জগত আছে, তা দেখতে হবে, জানতে হবে। সেখানের বাসিন্দারাও কি মানুষ এবং কেন তারা এই ফেসবুকের মত নিয়ন্ত্রিত সুরক্ষিত সংগঠিত নির্মিত সীমাবদ্ধ জগত ছেড়ে বাইরের অনিয়ন্ত্রিত প্রাকৃতিক অরণ্যে, বনে বাঁদাড়ে ঘোরাঘুরি করছে, তার অনুসন্ধান করতে হবে।

আমি ফেসবুক, ‍ইউটিউব, টুইটার, ইনষ্টাগ্রাম ইত্যাদি পপুলার পল্যাটফর্ম এড়াচ্ছি আমার বাক স্বাধীনতাকে বাঁচিয়ে রাখতে। ফেসবুকে তোমার সব কিছু সমালোচনা করার অধিকার আছে – তুমি ভারতবর্ষকে, গান্ধীকে, সুভাস বোসকে, এমন কি রাম, লক্ষণ যিশু খৃষ্ট, ক্যাপিটালিজম, সোশালিজম, আকাশ পাতাল, ভগবান, শয়তান – সব কিছুকে ইচ্ছে মত সমালেচনা করতে পারবে – কেবল একটি বিষয় ছাড়া।

শুধু তুমি world health organisation, এবং তাদের প্রচারিত কোভিড কাহিনীকে, তার বিজ্ঞানকে, তার টিকা নিয়ে জোরাজুরিকে সমালেচনা করতে পারবে না। যদি তাদের সমালেচনা করা শুরু করো তখনই ওরা তোমার কমেণ্টে warning post লাগাবে, বা তোমাকে কিছু দিনের জন্য ফেসবুকে লিখতে দেবেনা, ফেসবুক jailয়ে পাঠাবে। ইউ টিউব তোমার সেই কোভিড-সমালোচনা-কাহিনীকে ডিলিট করবে। ভাড়াবাড়ি করলে তোমাকে পুরোপুরি তাড়াবে ‍ তোমার অ্যাকাউণ্ট িলিট করে দেবে। তোমাকে নতুন নামে ছদ্মবেশ আবার ঢোকার চেষ্টা করতে হবে।

এই জন্য, আমার মত অনেক লোক বাক স্বাধীনতার মূল্য বোঝে, তারা এই বেড়ির বাইরে সময় কাটাতে শিখছে – ওখানের মানুষদের সঙ্গে বসে আলাপ আলেচনা করতে শিখছে। আমি তাদের সঙ্গে সময় কাটানোটা খুব পছন্দ করি। আমার সোশাল মিডিয়ার গজত এখন মোটামুটি ওখানেই। রবীন্দ্রনাথের একটা গান এখানে দিলাম – প্রাসঙ্গিকতার জন্যঃ

—-

তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে
টুকরো করে কাছি, আমি ডুবতে রাজি আছি
সকাল আমার গেল মিছে
বিকেল যে যায় তারি পিছে ;
রেখো না আর, বেঁধো না আর, এই কূলের কাছাকাছি।
আমি ডুবতে রাজি আছি।
 
মাঝির লাগি আছি জাগি, সকল রাত্রিবেলা,
ঢেউগুলো যে আমায় নিয়ে করে কেবল খেলা।
ঝড়কে আমি করব মিতে
ডরব না তার ভ্রূকুটিতে ;
দাও ছেড়ে দাও ওগো, আমি তুফান পেলে বাঁচি।
আমি ডুবতে রাজি আছি।
—-

রবীন্দ্রনাথের তখনকার রাজনৈতিক পরাধীনতার ও সামাজিক সীমাবদ্ধতার সুসংগঠিত গণ্ডীর নিরাপদ শান্ত সুপরিকল্পিত জগতে থেকে নিজেকে দম বন্ধ লাগতো,  তাই এই অবরুদ্ধতার থেকে বেরোবার আশায় লিখেছিলেন ‍ ভগবান যেন তাঁকে আর এই দম আটকানো নিরাপদ কিনারায় না বেঁধে রেখে তাঁকে মুক্তি যেন দেয়, যাতে তিনি তাঁর ভাঙ্গা তরীতে পাল তুলে সেই খোলা হাওয়ায় খোলা সমুদ্রের ঢেউয়ে দুলতে পারেন। তুফান আসে – আসুক। তরী উল্টে যায় – যাক। এই সীমাবদ্ধতার থেকে মুক্তি পেতে, সেই খোলা হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে পারলে, বিনিময়ে তিনি ডুবে মরতে ওবদি রাজি ছিলেন।

আজ আমরা সেই খোলা হাওয়ার সন্ধানে বেরিয়েছি, এবং একবার সেই মুক্ত আকাশের নিচে নিঃশ্বাস নিয়ে সেই লাগাম ছাড়া অনিয়ন্ত্রিত জগতকে দেখে আর এই ফেসবুকিস্থানে থাকতে ভাল লাগেনা। তাতে যদি ডুবতেও হয়, তাও গ্রহণীয়।

শেষে আরেক বাঙালির কথা সংযুক্ত করলাম এখানে – এটা আমি শুনি ঔ বাইরের খোলা জগতে। এটা কে বলেছিল তার নাম উল্লেখিত ছিল না- তা জানার উৎসাহ দেখাতে বাংলারই স্বাধীনচেতা নবযুবকরা, যারা এই সীমাবদ্ধ জগতে চোখের আড়ালে হাজারে হাজারে বাইরে বেরিয়ে এসেছে – তারা জানালো আমাকে, যে এটা নাকি রামকৃষ্ণ মিশনের এক জয়দীপ মহারাজ বলেছেন। আমি জয়দীপ মহারাজোর নামই শুনিনি আগে – কিন্তু ওনার কথা শুনে বুঝলাম, শ্বাধীন চিন্তা করার ক্ষমতা এবং কোভিডের পেছনের মহা ষড়যন্ত্রকে সাধারণ লোককে ঠাণ্ডা গলায় কি করে বোঝাতে হয় তিনি জানেন। পারলে এটা শুনো।

আমাকে এখানে বেশি ডেকোনা – আমি ফেসবুকিস্থানের নারগিকত্ব ছেড়েছি – দূরত্ব বাড়াচ্ছি এখান থেকে। তোমরা সবাই ভাল থেকো।

জয়দীপ মহারাজ – কোভিড হাহিনী

মোদী, ভারত, এবং বর্তমান সভ্যতা-সংকট

ফেসবুকে আমার ছেলেবেলার এবং আজীবনের বন্ধুদের অন্যতম স্যমন্তকের একটি মোদী-বিচার লেখা পড়ে মনে হল যে আমার হয়তো উচিত নিজের বক্তব্যটা পেশ করা, যদিও আমি অন্য লোকের উঠোনে গিয়ে নিজের মন্তব্য জাহির করাটা একেবারেই পছন্দ করিনা।

কিন্তু বিষয়টা আমার কাছে খুবই সাম্প্রতিক ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাতে আমার বক্তব্য রাখতে এবং অন্যের ঘাড়ে চেপে না চেঁচানোর সিদ্ধান্ত থেকে না সরতে গিয়ে, একটা ব্লগ লিখে ফেললুম বাংলাতে – ঔ উভয় সংকটের মুশকিল আসানের সন্ধানে।

স্যমন্তকের ফেসবুক পাতার শিরোনাম চিত্র

স্যমন্তক,

আমি সাধারণতঃ অন্য লোকের উঠোনে উচ্চারিত নিজস্ব বক্তব্যের ওপর খবরদারী করতে বা সমালেচনা করতে আসিনা। তবে এইবার তোর উক্তিটা চোখের সামনে এল এবং বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ মনে হল বলে ভাবলাম Facebook’এ আমার ব্যবহারে একটা ব্যতিক্রম হয়তো আনতে পারি এবং মনে করছি তুই অখুশি হবিনা। তাত্পর্যপূর্ণ বিষয়ে মতানৈক্য থাকতেই পারে, যদি তা সসম্ভ্রমে পেশ করা যায়।

স্যমন্তককে আমি আনন্দ পাঠশালা থেকে চিনি এবং একই ক্লাসে একই বছর ইস্কুল পাশ করেছি।

নরেন্দ্র মোদি আগামী নির্বাচন জিতবে কি জিতবে না জানি না – সন্দেহ করি জিতবে, কিন্তু জেতার অন্যতম মূল কারণ নিজগুনের চেয়ে বেশি হবে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্পের অভাব।

মোদীর লোকপ্রীয়তার অন্যতম কারণ ছিল ভারতবাসীদের অনেকেরই ইংরেজদের দাক্ষিণ্যে পাওয়া ভণ্ড-ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মুসলমান-পোষণ ও হিন্দু-বিভাগ নীতির ধারাবাহিক সম্প্রসারণের ওপর অরূচি। তাই, দেশের একটি বৃহত গোষ্ঠীর অনেকদিনের জমানো ক্ষোভকে স্বীকৃতি দিয়ে ভাজপা দল ক্ষমতায় এসেছিল। ছোটবেলায় বিজ্ঞান পাঠে শিখেছিলাম – প্রকৃতি শূন্য সহ্য করেনা, তাই শূন্যস্থানকে ভর্তি করে দেয় পূর্ণতা রক্ষা করতে। জনতার বৃহদাংশ হিন্দুদের বঞ্চিত থাকার অনুভূতিটা একরকম রাজনৈতিক শূন্যতা – যা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পুরণ করার সময় এসেছিল এবং ভাজপা তা বুঝতে পারে এবং তাকে ভর করে এক রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করে, যার আধুনিক ফল হল নরেন্দ্র মোদীর কত লোকেদের উত্থান। তবে ক্ষমতায় আসা, আর ক্ষমতায় টিকে থাকা – দুটো দুরকম সমস্যা – এবং সমাধানও সবসময় একই পরিকল্পনা থেকে আসে না।

স্যমন্তক বলেছে ছোটখাটো ছাপোষাদের ঘুষ ও চুরিচামারির রাস্তা বন্ধ হয়েছে। আগের মনমোহন সরকারও একটু একটু করে সেই রাস্তা বন্ধ করার পথে নেমেছিল – মোদী সরকার সেই রাস্তাকে আরও প্রশস্ত করেছে। এক ঝলকে দেখলে তাতে লোকেদের খুশি হবারই কথা, এবং মোদী সরকার তাকে সবার দৃষ্টিগোচরও করেছে নানা প্রকার ঢাক পিটিয়ে। আরও নানা যায়গায় সরকার দেশকে স্বাবলম্বী করার নামে নানা রকম উদ্যোগও নিয়েছে – মানছি।

কিন্তু, দূর থেকে নিরপেক্ষভাবে বিচার করলে মনে হয় যে – ছোটখাটো লোকেদের চুরি চামারি, দুর্নীতি এবং আমলাতন্ত্র থামিয়ে মোদী সরকার বৃহত কর্পোরেশন এবং ধনকুবেরদের রাষ্ট্র লুঠ করার পথ খুলে দিয়েছে এবং রাষ্ট্রকে দেশী বিদেশী অতিধনী গোষ্ঠীশাসনের অধীনে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। চুরি এখনও হচ্ছে এবং মনে হয় আগের চেয়ে আরও ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে সেই দূরাচার – এবং তাতে লাভবান হবে মিচকে চোরেরা বা সাধারণ প্রজারা নয়, অন্য এক শ্রেনীর অতিক্ষমতাশীল প্রভুদের দল, যাদের পকেটে সব রাজনীতিবিদরা থাকে এবং মনে হচ্ছে মোদীর জন্যেও এক বিশেষ পকেট তৈরি ছিল শুরু থেকেই।

নানা দেশী এবং আন্তর্জাতিক কারণে ভারতীয় এবং পৃথিবীর জনগন আজ এক নজিরহীন মহাসংকটের সামনে দাঁড়িয়ে – সব দেশের সব রাজণৈতিক দলই এই মানবতালুণ্ঠনে অংশীদার ও ঠিকাদার  মনে হয় – তফাতটা খালি কে কিরকম লিপস্টিক লাগাচ্ছে এবং কিরকম পাউডার মাখছে গালে – ততটুকুই।

আমার নিজস্ব মতে দোষটা জনতার। রাজা হল জনতার প্রতিফলন। জনতা যদি দূরদৃষ্টিহীন, স্বার্থপর, কাপুরুষ বা মেরুদণ্ডহীন, ভীরু হয়, তবে তাদের প্রাপ্য মুখোশপরা সরকারই তারা পাবে।

এতে সবচেয়ে শিক্ষণীয় পাঠ হল – স্বাধীনতা, ন্যায় ও সুবিচার আকাশ থেকে পড়ে না – তাকে অর্জন করতে হয় – তার জন্য মাথার ঘাম ফেলতে হয়, এমনকি রক্তও দিতে হয়।

দুঃখের বিষয় – সুভাসবাবুও জনরক্তস্বল্পতায় কাবু হলেন এবং রবীন্দ্রনাথের বর্ণিত হালের কাছের মাঝি  ঔ ভীরু জনতার অবহেলায় আজ সুদূরে বিলীন।

বেশি বলে ফেলেছি মনে করলে নিজগুনে মাফ করে দিস বাবুয়া।

সবাই ভাল থাকবেন।